ব্লগিং(Blogging) কি, কেন এবং কিভাবে করতে হয়?

আসসালামু আলাইকুম,, বন্ধুরা আজকের লেখাটি ব্লগিং গাইডলাইন নিয়ে। ব্লগিং কি এবং কিভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরী করে ব্লগিং শুরু করবেন তার সম্পুর্ন গাইড লাইন থাকছে আজকের পোস্টে।

আমারা অনেকেই ব্লগিং শব্দটা শুনি এবং সাথে সাথে এটাও শুনি যে, ব্লগিং করে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়।

কিন্তু কিভাবে শুরু করবো তা বুঝতে পারি না।

আজকের পোস্ট থেকে যা যা জানতে পারবেন


  • ব্লগিং কি
  • ব্লগিং করতে কি কি দরকার হয়
  • ডোমেইন কি
  • হোস্টিং কি
  • ইনডেক্স কি
  • কিভাবে ব্লগিং থেকে ইনকাম করতে হয়



ব্লগিং কি, কেন এবং কিভাবে করতে হয়?




ব্লগিং কিঃ 


ব্লগিং হল একটি ফ্রী আর্টিকেল রাইটিং পেশা। যারা লেখালেখি করতে পছন্দ করে, তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং একটি লাভজনক পেশা হলো ব্লগিং।


নিজের অথবা কোন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে, বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখালেখি করে তা ওয়েবসাইটে পাবলিশ করাকেই ব্লগিং বলে। 



ব্লগিং করতে কি কি দরকার হয়ঃ


ব্লগিং এর জন্য প্রথমেই দরকার একটি ওয়েবসাই। 

সেখানে লিখে তা পাবলিশ করা হবে। ওয়েবসাইট

 ছাড়াও প্র্যাকটিসের জন্য ফেসবুক পেজেও লেখা পোস্ট 

করা যেতে পারে। তবে প্রফেশনালী ব্লগিং করে ইনকাম করতে চাইলে প্রয়োজন একটি ওয়েবসাইট। 

তবে প্রাথমিকভাবে ফ্রি ওয়েবসাইটেও ব্লগিং শুরু করা যেতে পারে।  

ফ্রি ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে ব্লগিং শুরু করার জন্য সবচেয়ে পারফেক্ট দুটি প্লাটফর্মকে আমি সাজেস্ট করবো 

  1. Www.wordpress.com
  2.       2. Www.blogger.com

     এই দুটি প্লাটফর্মে কোন প্রকার ইনভেস্ট ছাড়াই খুব সহজে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্লগিং শুরু করতে পারেন। 


     

তবে প্রফেশনালী ব্লগিং শুরু করতে, আমি সাজেস্ট করব আপনি ডোমেইন-হোষ্টিং দিয়ে  একটি সুন্দর ওয়েবসাইট 

তৈরী করে নিন। 


ডোমেইন এবং হোস্টিং কি?

ডোমেইনঃ 

ডোমেইন হলো আপনার ওয়েবসাইটের নাম 

যেমনঃ khyrulblog, banglatech.

যে কোন ওয়েবসাইট তৈরী করার আগে একটি ডোমেইন অর্থাৎ ওয়েবসাইটের নাম ক্রয় করতে হয়। 


ব্লগার অথবা  ওয়ার্ডপ্রেসে যদি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করেন, তাহলে ফ্রীতে ডোমেইন পাবেন। প্রবলেম হল এই ডোমেইন গুলোতে, ওয়ার্ডপ্রেস এবং ব্লগস্পট এক্সটেনশন যুক্ত থাকে। 

যেমন ফ্রি ডোমেইন হলেঃ

 www.khyrulblog.blogspot.com

Www.khyrulblog.wordpress.com


আর পেইড ডোমেইন হলেঃ

www.khyrulblog.com

Www.khyrulblog.net

Www.khyrulblog.org

Www.khyrulblog.info

Www.khyrulblog.link

এমন হতো 

আমি সাজেস্ট করবো আপনি একটি পেইড ডোমেইন কিনে ব্লগিং শুরু করেন।


বাংলাদেশ থেকে খুব সহজেই বিকাশ এবং রকেটের মাধ্যমে ডোমেইন নেম ক্রয় করা যায়।

Putulhost 

Dianahost 

এই দুইটি ওয়েবসাইট থেকে সহজেই ডোমেইন নেম ক্রয় করতে পারেন।



হোস্টিংঃ 

হোস্টিং হলো আপনার ওয়েবসাইটের মেমোরি। যেখানে আপনার ওয়েব সাইটের কনটেন্ট গুলো সংরক্ষন করা হয়। wordpress  দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করার ক্ষেত্রে হোস্টিং প্রয়োজন হয়। আর গুগলের ব্লগার থেকে ওয়েবসাইট তৈরি করার ক্ষেত্রে শুধু ডোমেইন কিনতে হয়। হোস্টিং গুগোল ফ্রী দেয়।



ডোমেইন-হোস্টিং ক্রয় করার পর, আপনার কাজ হল একটি সুন্দর ওয়েবসাইট ডিজাইন করা। 


ওয়েবসাইট আপনি নিজে অথবা অন্য কাউকে দিয়ে ডিজাইন করে নিতে পারেন।

ব্লগিং এর জন্য অল্প মুল্যে পারফেক্ট ওয়েবসাইট ডিজাইন করে নিতে। আমাকে হায়ার করতে পারেন।

এই ওয়েবসাইটে Facebook id তে আমাকে নক করুন।


ওয়েবসাইট তৈরি করার পর এটিতে গুগল সাইট ম্যাপ এড করতে হবে যেন ওয়েবসাইটে পোস্ট করার সাথে সাথে এটি গুগলে ইনডেক্স হয়।


ইনডেক্সঃ 

গুগলের সার্ভারে পোস্টটি সেভ হওয়াকে ইনডেক্স বলে। গুগল ইনডেক্সে পোস্ট ইন্ডেক্স না হলে গুগলের সার্চ লিস্টে তা কখনোই করবেনা।। ফলে কখনোই কোনো অর্গানিক ভিউ পাবেন না। 


এইবার আপনার ওয়েবসাইট লেখালেখির জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। নিয়মিত আপনার ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে থাকবেন, 20 থেকে 30 টি পোস্ট গুগলে ইনডেক্স হলে, আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন। 

গুগোল অ্যাডসেন্স এপ্রুভ হলে, আপনার প্রতিটি পোস্টে এবং ওয়েবসাইটে গুগোল কর্তৃক এড শো করবে। 

এবং এডসেন্স থেকে আপনার বিপুল পরিমাণ অর্থ ইনকাম হওয়া শুরু হবে।



কিভাবে ব্লগিং থেকে ইনকাম করতে হয়ঃ

ব্লগিং থেকে অনেক ভাবে ইনকাম করা যায়। 

ব্লগিং একটি বিশাল সেক্টর। ব্লগিং করতে জানলে পার্ট টাইম জব করা যায় যেমনঃ তুমি নিজের ওয়েবসাইটে কাজ করতে পার, এছাড়া অন্য কারো ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট পাবলিশার হিসেবে কাজ করতে পার। এক্ষেত্রে তুমি অন্য কোনো কোম্পানিতেও একজন ব্লগার হিসাবে কাজ করতে পার। 


ব্লগিং থেকে কিভাবে ইনকাম পকেটে আসেঃ

ব্লগিং যদিও একটি সখের কাজ তবুও বর্তমান সময়ে ব্লগিং করে একটা ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। ব্লগিং থেকে যেসকল উপায়ে আমরা ইনকাম করতে পারি সেগুলো হলোঃ

  • এডসেন্স থেকে ইনকাম
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং করে
  • ই-বুক অথবা নিজের কোনো পডাক্ট বিক্রি করে 
  • গেস্ট পোস্টিং এর মাধ্যমে ইনকাম
  • ডাইরেক্ট প্রোমোশন 


এডসেন্স থেকে ইনকামঃ


এক্ষেত্রে আপনার ওয়েব সাইটটিকে গুগোল এডসেন্স মনিটাইজেশান অন করে নিতে হবে। 
এর ফলে আপনার ওয়েব সাইটে গুগল থেকে অটোমেটিক এড শো করবে। আপনার ভিজিটররা অর্থাৎ যারা আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পড়ার জন্য আসবে তারা ঐ এড গুলায় ক্লিক করলে সেখান থেকে গুগল আপনাকে একটি ভালো পরিমাণ রেভিনিউ দিবে।




এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকামঃ



এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে বুঝায়, আপনি কোনো কম্পানির কোনো প্রোডাক্ট বিক্রি করে  দিবেন এর বিনিময়ে কম্পানি লাভের কিছু অংশ আপনাকে দিবেন।
এর ফলে কোম্পানির পোডাক্ট সহজেই বিক্রি হয়।
আপনি এই পদ্ধতিতে আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ লাখ উপার্জন করতে পারবেন। 



ই-বুক অথবা নিজের কোনো পোডাক্ট বিক্রি করে ইনকামঃ


যখন আপনার ওয়েবসাইট অনেক ভিজিটর আসবে তখন ভিজিটরদের চাহিদা মোতাবেক ই-বুক অথবা অন্য কোনো পোডাক্ট তৈরী করে তাদেরকে ওয়া করতে পারেন, ফলে এখান থেকে আপনার একটি রয়েলদী ইনকাম জেনারেট হবে।




গেস্ট পোস্ট এর মাধ্যমে ইনকামঃ


গেস্ট পোস্ট এর মাধ্যমে ইনকাম করার কথা ভাবার আগে আপনাকে জানতে হবে গেস্ট পোস্ট কি।

গেস্ট পোস্ট মানে অতিথি পোস্ট। ধরুন আপনার একটি নামকরা ওয়েবসাইট রয়েছে, আপনার ওয়েবসাইট যখন অন্য কেউ পোস্ট করবে তখন তাকে গেস্ট পোষ্ট বলে।

এখন আাপনার মনে প্রশ্ন হতে পারে গেস্ট পোস্ট থেকে কিভাবে ইনকাম হবে?
উত্তর টা হলো গুগলের SEO এর জন্য প্রয়োজন ব্যাকলিঙ্ক, আর এই গেস্ট পোস্টের মাধ্যমে ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করা হয়।

বিষয় টিকে আরো ক্লিয়ার করি-----

ধরুন আপনার একটা নামকরা ওয়েবসাইট রয়েছে,
আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিদিন অনেক মানুষ আপনার আর্টিকেল পড়তে আসে, ফলে গুগল সেটা বুঝেছে যে আপনার ওয়েবসাইটি একটি নামকরা ওয়েবসাইট 
এখন আমার একটি ওয়েবসাইট রয়েছে যা আলপনার ওয়েব সাইটের সাথে মিল রয়েছে। 
এখন যদি আমি আমার ওয়েবসাইটের URL আপনার ওয়েবসাইটে রাখতে পারি তাহলে আামার ওয়েবসাইটের একটি ব্যাকলিঙ্ক তৈরী হবে।

ফলে গুগল আমার ওয়েবসাইট টিকেও আপনার ওয়েবসাইটের মতো গুরুত্বপূর্ণ মনে করবে।

এখন প্রশ্ন হলো আমার ওয়েব সাইটেট URL তো এমনিতেই আপনার ওয়েবসাইটে রাখবেন না। 
এর জন্য আপনি আমার কাছ থেকে কিছু টাকার বিনিময়ে আমাকে আপনার ওয়েবসাইট পোস্ট করতে দিবেন। আমি আপনার ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে গিয়ে আমার ওয়েবসাইটের URL আপনার ওয়েবসাইটে বসিয়ে দিবো, তাহলেই ব্যাকলিঙ্ক তৈরী হয়ে গেল। মাঝখান থেকে আপনি বসে বসে টাকা কামালেন।





ডাইরেক্ট প্রোমোশনঃ


এক্ষেত্রে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে কোনো কম্পানিকে সরাসরি প্রোমোট করতে পারেন। 
আপনার ওয়েবসাইট রিলেটেড কোম্পানি গুলোর সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে টাকার বিনিময়ে এধরণের প্রোমোশন করতে পারেন।



শেষ কথাঃ 
আর বেশি কিছু লিখে আপনাদের সময় নষ্ট করব না। 
কথা হলো আর্টিকেল টি পড়ে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। কমেন্ট পড়তে আমার ভালো লাগে।

আর ব্লগিং রিলেটেড কিছু অজানা থাকলে, অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন,

আর সবাই সবার বৌ নিয়ে সুখে থাকুন বাই বাই।


0 Response to "ব্লগিং(Blogging) কি, কেন এবং কিভাবে করতে হয়?"

Post a Comment

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel